ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জীবিত যোদ্ধা শামসুদ্দিনকে দেখতে বাসায় জেলা প্রশাসক

প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:৫৪:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ ২৩ বার পড়া হয়েছে

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী যশোরের জীবিত যোদ্ধার বাড়িতে যশোরের জেলা প্রশাসক -কপোতাক্ষ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী যশোরের জীবিত যোদ্ধা ল্যান্স কর্পোরাল শামসুদ্দিনকে দেখতে শহরের পুলিশলাইন টালিখোলায় তার বাড়িতে যান যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম। আজ (সোমবার) বিকেলে তিনি ওই যোদ্ধার সাথে দেখা করেন ও শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।

১০১ বছর বয়সী এই যোদ্ধা ১৯৪২ সালে ২য় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন এবং ১৯৪৮ সালে সেখান থেকে অবসর গ্রহণ করেন। পরে এই যোদ্ধা পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতেও কর্মরত ছিলেন বলে জেলা প্রশাসক ও ল্যান্স কর্পোরাল শামসুদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এ সময় জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম জানান, তিনি এদিন প্রথমবারের মতো জেলা সশস্ত্র বোর্ডের সভায় যান দুপুরে। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, যশোর শহরের মধ্যেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়া একজন জীবিত সৈনিক আছেন। পরে তিনি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিকেলে ওই সৈনিকের খোঁজখবর নিতে তার বাড়িতে ছুটে যান। এ সময় তিনি ল্যান্স কর্পোরাল শামসুদ্দিনের হাতে শুভেচ্ছা ্উপহার হিসেবে আসন্ন ঈদের কিছু সামগ্রি ও পোশাক কেনার জন্যে ১০ হাজার টাকা তুলে দেন। তিনি ল্যান্স কর্পোরাল শামসুদ্দিনের সাথে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত করেন।

জেলা প্রশাসক এ সময় সাংবাদিকদের জানান, ল্যান্স কর্পোরাল শামসুদ্দিন তার জীবনে ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিরল সম্মানের অধিকারী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জীবিত যোদ্ধা শামসুদ্দিনকে দেখতে বাসায় জেলা প্রশাসক

আপডেট সময় : ০২:৫৪:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী যশোরের জীবিত যোদ্ধা ল্যান্স কর্পোরাল শামসুদ্দিনকে দেখতে শহরের পুলিশলাইন টালিখোলায় তার বাড়িতে যান যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম। আজ (সোমবার) বিকেলে তিনি ওই যোদ্ধার সাথে দেখা করেন ও শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।

১০১ বছর বয়সী এই যোদ্ধা ১৯৪২ সালে ২য় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন এবং ১৯৪৮ সালে সেখান থেকে অবসর গ্রহণ করেন। পরে এই যোদ্ধা পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতেও কর্মরত ছিলেন বলে জেলা প্রশাসক ও ল্যান্স কর্পোরাল শামসুদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এ সময় জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম জানান, তিনি এদিন প্রথমবারের মতো জেলা সশস্ত্র বোর্ডের সভায় যান দুপুরে। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, যশোর শহরের মধ্যেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়া একজন জীবিত সৈনিক আছেন। পরে তিনি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিকেলে ওই সৈনিকের খোঁজখবর নিতে তার বাড়িতে ছুটে যান। এ সময় তিনি ল্যান্স কর্পোরাল শামসুদ্দিনের হাতে শুভেচ্ছা ্উপহার হিসেবে আসন্ন ঈদের কিছু সামগ্রি ও পোশাক কেনার জন্যে ১০ হাজার টাকা তুলে দেন। তিনি ল্যান্স কর্পোরাল শামসুদ্দিনের সাথে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত করেন।

জেলা প্রশাসক এ সময় সাংবাদিকদের জানান, ল্যান্স কর্পোরাল শামসুদ্দিন তার জীবনে ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিরল সম্মানের অধিকারী।