যশোরে ফরহাদ মজহার
আমাদের কথা শোনা যখন থেকে বন্ধ করে দিয়েছে তখন থেকে বিএনপির পতন শুরু হয়েছে

- আপডেট সময় : ০১:৪০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫ ২২ বার পড়া হয়েছে

‘জুলাই বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে তরুণদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অলোচকের বক্তব্য দেন বিশিষ্ট কবি, দার্শনিক ও রাষ্ট্র চিন্তক ফরহাদ মজহার -কপোতাক্ষ
বিশিষ্ট কবি, দার্শনিক ও রাষ্ট্র চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেন, আমাদের কথা শোনা যখন থেকে বন্ধ করে দিয়েছে তখন থেকে বিএনপির পতন শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি, আজ হোক কাল হোক তারা হারিয়ে যাবে।
আজ (শনিবার) দুপুরে যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আয়োজনে ‘জুলাই বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে তরুণদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অলোচকের বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, এই গণঅভ্যুত্থান কখনও সফল হতো না যদি খালেদা জিয়া আপোষহীনভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে না থাকতো।
ফরহাদ মজহার বলেন, বাহাত্তরের সংবিধান বাংলাদেশের জনগণের সংবিধান ছিল না। এটা ছিল পাকিস্তানের সংবিধান। এটা করা হয়েছিল দিল্লির হাতে বাংলাদেশকে তুলে দেওয়ার জন্য। তিনি বর্তমান সরকারকে নির্বাচিত সরকার দাবি করে বলেন, ড. ইউনুসকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বসানো হয়েছে। রক্ত দিয়ে তাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাহলে ভোট গুরুত্বপূর্ণ নাকি রক্ত গুরুত্বপূর্ণ?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর শাখার আহ্বায়ক রাশেদ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ৭২’র সংবিধান পাকিস্তানের সংবিধান। একাত্তরে আমরা বিপ্লব করিনি, স্বাধীনতা অর্জন করেছি। একাত্তর পরবর্তী সময়ে শেখ মুজিবুর রহমান জনঅভিপ্রায় বাস্তবায়ন করেননি। তাছাড়া গণপরিষদ ভোটও হয়নি। ফলে রাষ্ট্র গঠনও করা সম্ভব হয়নি। অথচ রাষ্ট্র গঠনে গণপরিষদ ভোট স্বীকৃত পদ্ধতি। ফলে ৭২ সালের সংবিধান কখনো বাংলাদেশের জনগণের সংবিধান ছিল না। সেটা ছিল পাকিস্তানের সংবিধান। কারণ সেটা যারা প্রণয়ন করেছে তারা পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল। তারা যুদ্ধের সময় ছিল না। যে কয়েকজন ছিল তারা দিল্লির সাথে সহযোগিতা করে বাংলাদেশকে দিল্লির হাতে তুলে দেবার ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন।
তিনি তরুণদের উদ্দেশে বলেন, সংস্কার বলে কিছু নেই। সংবিধান আমরাতো বানাইতে পারি নাই। আমরা যদি দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলি, তাহলে এ পর্বে আমরা রাষ্ট্র গঠন করতে না পারলে আবারো ৫০ বছর পিছিয়ে যেতে হবে। ফলে ছাত্রদের রাষ্ট্রগঠনে গণপরিষদ ভোটের দাবি সঠিক। কিন্তু তারা এটা ব্যাখা করতে পারে না।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাচ্যসংঘ যশোরের প্রতিষ্ঠাতা লেখক, গবেষক বেনজীন খান, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ, মোহাম্মাদ রোমেল, যশোর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতা ফাহিম আল ফাত্তাহ, মারুফ কবীর, যশোর নাগরিক কমিটির নেতা আশালতা প্রমুখ।