ঢাকা ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রয়োজন

এপিবিএন প্রত্যাহার, নিরাপত্তায় জেলা পুলিশ

প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:১৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ৪৭ বার পড়া হয়েছে

বেনাপোল বন্দর আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনাল -কপোতাক্ষ ফাইল ছবি

বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মড ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-এর ৪০ সদস্যকে প্রত্যাহার করে তাদের স্থলে সমসংখ্যক জেলা পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আজ (সোমবার) সকাল থেকে জেলা পুলিশের ১৫ সদস্য বন্দর এলাকায় দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন।

বাকি সদস্যরা দু’এক দিনের মধ্যেই যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বন্দর পরিচালক মো. শামিম হোসেন জানান, আমদানি-রফতানি বাণিজ্য, পাসপোর্টধারী যাত্রী এবং বন্দরের স্থাপনাগুলোর সার্বিক নিরাপত্তায় ৪০ জন জেলা পুলিশ নিয়োজিত থাকবেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে এপিবিএনের সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এর আগে গত ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি সাহাজাদা মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বন্দর থেকে ৪০ এপিবিএন সদস্যকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এপিবিএন সদস্যদের প্রয়োজন হওয়ায় তাদের বেনাপোল বন্দর থেকে প্রত্যাহার করা হবে।

বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ওসি আব্দুলা আল মামুন জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ থেকেই জেলা পুলিশ বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।

বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালের ৭ জুলাই বেনাপোল বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করতে এপিবিএন মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে বন্দরের ৯৩ একর এলাকাজুড়ে ৩৪টি ওয়্যারহাউস, একটি কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল, যাত্রী টার্মিনালসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করছেন ১৬৩ জন আনসার এবং ১৪০ জন বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী।

জেলা পুলিশ যোগ হওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রয়োজন

এপিবিএন প্রত্যাহার, নিরাপত্তায় জেলা পুলিশ

আপডেট সময় : ০২:১৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মড ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)-এর ৪০ সদস্যকে প্রত্যাহার করে তাদের স্থলে সমসংখ্যক জেলা পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আজ (সোমবার) সকাল থেকে জেলা পুলিশের ১৫ সদস্য বন্দর এলাকায় দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন।

বাকি সদস্যরা দু’এক দিনের মধ্যেই যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বন্দর পরিচালক মো. শামিম হোসেন জানান, আমদানি-রফতানি বাণিজ্য, পাসপোর্টধারী যাত্রী এবং বন্দরের স্থাপনাগুলোর সার্বিক নিরাপত্তায় ৪০ জন জেলা পুলিশ নিয়োজিত থাকবেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে এপিবিএনের সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এর আগে গত ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি সাহাজাদা মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বন্দর থেকে ৪০ এপিবিএন সদস্যকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এপিবিএন সদস্যদের প্রয়োজন হওয়ায় তাদের বেনাপোল বন্দর থেকে প্রত্যাহার করা হবে।

বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ওসি আব্দুলা আল মামুন জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ থেকেই জেলা পুলিশ বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।

বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালের ৭ জুলাই বেনাপোল বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করতে এপিবিএন মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে বন্দরের ৯৩ একর এলাকাজুড়ে ৩৪টি ওয়্যারহাউস, একটি কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল, যাত্রী টার্মিনালসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করছেন ১৬৩ জন আনসার এবং ১৪০ জন বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী।

জেলা পুলিশ যোগ হওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।