ঢাকা ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় অধ্যাপক নার্গিস বেগম

সাংবাদিকতা কাটা বিছানো পথ

প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৭:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ৭৬ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন -কপোতাক্ষ

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা যেখানে একজন প্রকৃত সংবাদকর্মীর কোনো ভালো সময় যায় না। সাংবাদিকতা কাটা বিছানো পথ। একজন সত্যিকারের সাংবাদিকের জন্য এই পেশা কখনও পুষ্প বিছানো থাকে না। অনেক কঠিন পথকে ভালোবেসে এই পেশায় আসতে হয়। বিগত দিনে এই যশোরের বিএনপির নেতৃত্বে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সাংবাদিকরা আমাদের পাশে ছিল। অনেক সংকটময় মুহূর্তেও তারা আমাদের সুরক্ষা দেবার পাশাপাশি সাহস শক্তি জুগিয়েছিল। অতীতের মতো আগামীতেও সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি একসাথে পথ চলবে।

আজ (শনিবার) সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরও বলেন, সাংবাদিকদের বিভাজন ফ্যাসিবাদকে সহায়তা করেছিল। শেখ হাসিনার দানবীয় মূর্তির পেছনে এক শ্রেণির সাংবাদিক দায়ী ছিল, যারাই ব্যক্তিস্বার্থে সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে কলঙ্কিত করে দেশের সাংবাদিক সমাজের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছিল, যেখানে এক শ্রেণির সাংবাদিক ফ্যাসিস্টের পক্ষে অবস্থান নিয়ে তোষণে ব্যস্ত ছিল। আরেক শ্রেণির সাংবাদিক গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়ে বুক চেতিয়ে রাজপথে ছিল। যারা গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, তাদেরকে দেশ ছাড়তে হয়নি। অন্যদিকে যারা ফ্যাসিস্টে অনুসারী ছিল তাদের পালাতে হয়েছে, অনেককে দেশ ছাড়তে হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর সাংবাদিকদের মধ্যে বিভাজন কোনোভাবেই কাম্য নয়।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর নতুন করে যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। জনগণ আগামীতে আর কোনো আধিপত্যবাদী শক্তির ক্রীড়ানক হতে চায় না। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে নিষ্কন্টক করার মধ্য দিয়ে আমাদের স্বপ্ন পূরণ করে করতে হবে।

সভায় অন্যতম বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম-মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন।

সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী জেলা শাখার আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল, প্রচার সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন আহমেদ, যশোর চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মিজানুর রহমান খান, দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সম্পাদক এস এম তৌহিদুর রহমান, সাবেক সম্পাদক আহসান কবির বাবু, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহকারী মহাসচিব নূর ইসলাম।

সভা পরিচালনা করেন সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক এস ফরহাদ এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ জামান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় অধ্যাপক নার্গিস বেগম

সাংবাদিকতা কাটা বিছানো পথ

আপডেট সময় : ০৪:৪৭:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা যেখানে একজন প্রকৃত সংবাদকর্মীর কোনো ভালো সময় যায় না। সাংবাদিকতা কাটা বিছানো পথ। একজন সত্যিকারের সাংবাদিকের জন্য এই পেশা কখনও পুষ্প বিছানো থাকে না। অনেক কঠিন পথকে ভালোবেসে এই পেশায় আসতে হয়। বিগত দিনে এই যশোরের বিএনপির নেতৃত্বে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সাংবাদিকরা আমাদের পাশে ছিল। অনেক সংকটময় মুহূর্তেও তারা আমাদের সুরক্ষা দেবার পাশাপাশি সাহস শক্তি জুগিয়েছিল। অতীতের মতো আগামীতেও সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি একসাথে পথ চলবে।

আজ (শনিবার) সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরও বলেন, সাংবাদিকদের বিভাজন ফ্যাসিবাদকে সহায়তা করেছিল। শেখ হাসিনার দানবীয় মূর্তির পেছনে এক শ্রেণির সাংবাদিক দায়ী ছিল, যারাই ব্যক্তিস্বার্থে সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে কলঙ্কিত করে দেশের সাংবাদিক সমাজের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছিল, যেখানে এক শ্রেণির সাংবাদিক ফ্যাসিস্টের পক্ষে অবস্থান নিয়ে তোষণে ব্যস্ত ছিল। আরেক শ্রেণির সাংবাদিক গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়ে বুক চেতিয়ে রাজপথে ছিল। যারা গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, তাদেরকে দেশ ছাড়তে হয়নি। অন্যদিকে যারা ফ্যাসিস্টে অনুসারী ছিল তাদের পালাতে হয়েছে, অনেককে দেশ ছাড়তে হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর সাংবাদিকদের মধ্যে বিভাজন কোনোভাবেই কাম্য নয়।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর নতুন করে যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। জনগণ আগামীতে আর কোনো আধিপত্যবাদী শক্তির ক্রীড়ানক হতে চায় না। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে নিষ্কন্টক করার মধ্য দিয়ে আমাদের স্বপ্ন পূরণ করে করতে হবে।

সভায় অন্যতম বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম-মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন।

সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী জেলা শাখার আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল, প্রচার সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন আহমেদ, যশোর চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মিজানুর রহমান খান, দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সম্পাদক এস এম তৌহিদুর রহমান, সাবেক সম্পাদক আহসান কবির বাবু, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহকারী মহাসচিব নূর ইসলাম।

সভা পরিচালনা করেন সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক এস ফরহাদ এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ জামান।