ঢাকা ১১:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোর শিক্ষা বোর্ডের আলোচিত ৭ কোটি টাকার চেক দুর্নীতি মামলা

নিজ বাড়িতে ফিরে গ্রেফতার হলেন প্রধান আসামি সালাম

প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:১৮:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫ ৩১৪ বার পড়া হয়েছে

নিজ বাড়িতে ফিরে গ্রেফতার হলেন মামলার প্রধান আসামি আব্দুস সালাম -কপোতাক্ষ

যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৭ কোটি টাকার চেক দুর্নীতি মামলার প্রধান আসামি সাবেক সহকারী হিসাবরক্ষক আব্দুস সালামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার গভীররাতে যশোর উপশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় চার বছর পলাতক ছিলেন তিনি। গ্রেফতারকৃত আব্দুস সালাম যশোর উপশহর ই-ব্লকের আব্দুস সামাদের ছেলে।

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত বলেন, ‘আব্দুস সালাম যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেক জালিয়াতি সংক্রান্ত স্পেশাল ৯/২৩ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার গভীররাতে উপশহর ফাঁড়ি পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক বিকালে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।’

আলোচিত এ মামলার নথি মতে, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধানে ৯টি চেক ঘষামাজা করে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মেলে। পরবর্তীতে তদন্তের পরিধি বাড়ালে মোট ৩৮টি চেক ঘষামাজা করে প্রায় পৌনে ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মেলে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঘটনার পর শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান, সচিব, সহকারী হিসাবরক্ষক আব্দুস সালাম ও ঠিকাদার ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবুসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের তৎকালীন উপ-পরিচালক আল-আমিন ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সেখানে ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন : যশোর শিক্ষা বোর্ডের বরখাস্তকৃত সহকারী হিসাবরক্ষক আব্দুস সালাম, ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু, শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার আশরাফুল আলম, পোস্ট অফিসপাড়ার গাজী নূর ইসলাম, বড় বাজার জামে মসজিদ লেনের প্রত্যাশা প্রিন্টিং প্রেসের মালিক রুপালী খাতুন, উপশহর ই-ব্লকের সহিদুল ইসলাম, রকিব মোস্তফা, শিক্ষা বোর্ডের সহকারী মূল্যায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, নিম্নমান সহকারী জুলফিকার আলী, চেক ডিসপাসকারী মিজানুর রহমান ও কবির হোসেন।

তবে চার্জশিটে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিবকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। এরপর ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সবাই তখন থেকে পলাতক ছিলেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর নিজ বাড়িতে ফেরার সময় গ্রেফতার হন মামলার প্রধান আসামি আব্দুস সালাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

যশোর শিক্ষা বোর্ডের আলোচিত ৭ কোটি টাকার চেক দুর্নীতি মামলা

নিজ বাড়িতে ফিরে গ্রেফতার হলেন প্রধান আসামি সালাম

আপডেট সময় : ০১:১৮:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৭ কোটি টাকার চেক দুর্নীতি মামলার প্রধান আসামি সাবেক সহকারী হিসাবরক্ষক আব্দুস সালামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার গভীররাতে যশোর উপশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় চার বছর পলাতক ছিলেন তিনি। গ্রেফতারকৃত আব্দুস সালাম যশোর উপশহর ই-ব্লকের আব্দুস সামাদের ছেলে।

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত বলেন, ‘আব্দুস সালাম যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেক জালিয়াতি সংক্রান্ত স্পেশাল ৯/২৩ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার গভীররাতে উপশহর ফাঁড়ি পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক বিকালে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।’

আলোচিত এ মামলার নথি মতে, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধানে ৯টি চেক ঘষামাজা করে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মেলে। পরবর্তীতে তদন্তের পরিধি বাড়ালে মোট ৩৮টি চেক ঘষামাজা করে প্রায় পৌনে ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মেলে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঘটনার পর শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান, সচিব, সহকারী হিসাবরক্ষক আব্দুস সালাম ও ঠিকাদার ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবুসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের তৎকালীন উপ-পরিচালক আল-আমিন ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সেখানে ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন : যশোর শিক্ষা বোর্ডের বরখাস্তকৃত সহকারী হিসাবরক্ষক আব্দুস সালাম, ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু, শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার আশরাফুল আলম, পোস্ট অফিসপাড়ার গাজী নূর ইসলাম, বড় বাজার জামে মসজিদ লেনের প্রত্যাশা প্রিন্টিং প্রেসের মালিক রুপালী খাতুন, উপশহর ই-ব্লকের সহিদুল ইসলাম, রকিব মোস্তফা, শিক্ষা বোর্ডের সহকারী মূল্যায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, নিম্নমান সহকারী জুলফিকার আলী, চেক ডিসপাসকারী মিজানুর রহমান ও কবির হোসেন।

তবে চার্জশিটে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিবকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। এরপর ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সবাই তখন থেকে পলাতক ছিলেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর নিজ বাড়িতে ফেরার সময় গ্রেফতার হন মামলার প্রধান আসামি আব্দুস সালাম।