ঢাকা ১১:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতলের বিনিময়ে মিলছে গাছ!

প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৩৪:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫ ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

প্লাস্টিকের বোতলের বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের গাছের চারা উপহার দেওয়া হয় -কপোতাক্ষ

‘আমাদের প্লাস্টিক দিন, পরিবেশ বন্ধু গাছ ও চকলেট নিন’ শ্লোগানে বোতলের বিনিময়ে যশোরে গাছ বিতরণের ব্যতিক্রম আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঐক্য-বন্ধন। এতে একটি প্লাস্টিকের বোতল দিলে বিনিময়ে একটি গাছ দেওয়া হয়েছে।

আজ (বুধবার) দুপুরে মণিরামপুর উপজেলার পলাশী রাজবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন করা হয়।

আয়োজকরা জানান, টিফিনের টাকায় পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ঐক্য-বন্ধন’-এর সচেতনমূলক কার্যক্রমের আওতায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্লাস্টিকের বর্জ্য নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপহার দেওয়া হচ্ছে ফলদ, বনজ ও ঔষধিসহ নানা প্রজাতির গাছ।

বাজারের নানা পণ্য ব্যবহারের ফলে আমাদের বসতবাড়ির আশপাশে প্লাস্টিকের বোতল ও ভাঙা অংশ জমে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। শিশুরা বাড়ির আশপাশ থেকে এসব বর্জ্য কুড়িয়ে এনে তার বিনিময়ে একটি করে গাছ নিচ্ছে। এমন আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শিক্ষক ও স্থানীয়রা।

এদিন শিক্ষার্থীদের মাঝে ফলদ বনজ ঔষধি ২শ’ বিভিন্ন রকমের গাছের চারা বিতরণ করা হয়। ধীরে ধীরে জেলার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

পলাশী রাজবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভি হোসেন জানায়, ‘আমরা বইয়ে পড়েছি বাগান করতে হবে। কিন্তু কখনও গাছ নিজ হাতে লাগাইনি। এবার নিজ হাতে গাছ লাগাবো। গাছের পরিচর্চা করব।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা পারভীন বলেন, ‘ঐক্য-বন্ধন যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যি ব্যতিক্রমি। এমন উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায় না। আমরা তাদের সাফল্য কামনা করি।’

ঐক্য-বন্ধনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহমুদুল হাসান জানান, ‘বাজারের নানা পণ্য ব্যবহারের ফলে আমাদের বসতবাড়ির আশপাশে প্লাস্টিকের বোতল ও প্লাস্টিকের মোড়ক জমে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমরা চেয়েছি শিশুরা বাড়ির আশপাশ থেকে এসব বর্জ্য কুড়িয়ে এনে আমাদের কাছে জমা দেওয়ার বিনিময়ে গাছ উপহার পাক। সেই কাজের অংশ হিসাবে আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা চাইলে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ করতে পারতাম। সেটা না করে পরিবেশ রক্ষার্থে প্লাস্টিকের বর্জ্য গ্রহণ করে আমরা তাদের গাছের চারা দিয়েছি। এতে তারা শিশুকাল থেকেই গাছ উপহার পেয়ে গাছ লাগানো চর্চা ও ভালো কাজে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতলের বিনিময়ে মিলছে গাছ!

আপডেট সময় : ০১:৩৪:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

‘আমাদের প্লাস্টিক দিন, পরিবেশ বন্ধু গাছ ও চকলেট নিন’ শ্লোগানে বোতলের বিনিময়ে যশোরে গাছ বিতরণের ব্যতিক্রম আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঐক্য-বন্ধন। এতে একটি প্লাস্টিকের বোতল দিলে বিনিময়ে একটি গাছ দেওয়া হয়েছে।

আজ (বুধবার) দুপুরে মণিরামপুর উপজেলার পলাশী রাজবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন করা হয়।

আয়োজকরা জানান, টিফিনের টাকায় পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ঐক্য-বন্ধন’-এর সচেতনমূলক কার্যক্রমের আওতায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্লাস্টিকের বর্জ্য নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপহার দেওয়া হচ্ছে ফলদ, বনজ ও ঔষধিসহ নানা প্রজাতির গাছ।

বাজারের নানা পণ্য ব্যবহারের ফলে আমাদের বসতবাড়ির আশপাশে প্লাস্টিকের বোতল ও ভাঙা অংশ জমে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। শিশুরা বাড়ির আশপাশ থেকে এসব বর্জ্য কুড়িয়ে এনে তার বিনিময়ে একটি করে গাছ নিচ্ছে। এমন আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শিক্ষক ও স্থানীয়রা।

এদিন শিক্ষার্থীদের মাঝে ফলদ বনজ ঔষধি ২শ’ বিভিন্ন রকমের গাছের চারা বিতরণ করা হয়। ধীরে ধীরে জেলার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

পলাশী রাজবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভি হোসেন জানায়, ‘আমরা বইয়ে পড়েছি বাগান করতে হবে। কিন্তু কখনও গাছ নিজ হাতে লাগাইনি। এবার নিজ হাতে গাছ লাগাবো। গাছের পরিচর্চা করব।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা পারভীন বলেন, ‘ঐক্য-বন্ধন যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যি ব্যতিক্রমি। এমন উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায় না। আমরা তাদের সাফল্য কামনা করি।’

ঐক্য-বন্ধনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহমুদুল হাসান জানান, ‘বাজারের নানা পণ্য ব্যবহারের ফলে আমাদের বসতবাড়ির আশপাশে প্লাস্টিকের বোতল ও প্লাস্টিকের মোড়ক জমে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমরা চেয়েছি শিশুরা বাড়ির আশপাশ থেকে এসব বর্জ্য কুড়িয়ে এনে আমাদের কাছে জমা দেওয়ার বিনিময়ে গাছ উপহার পাক। সেই কাজের অংশ হিসাবে আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা চাইলে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ করতে পারতাম। সেটা না করে পরিবেশ রক্ষার্থে প্লাস্টিকের বর্জ্য গ্রহণ করে আমরা তাদের গাছের চারা দিয়েছি। এতে তারা শিশুকাল থেকেই গাছ উপহার পেয়ে গাছ লাগানো চর্চা ও ভালো কাজে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ হবে।