স্মারকলিপি প্রদান
ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক যশোর জেলা পরিষদ ভবন রক্ষার দাবি
- আপডেট সময় : ০১:৫৭:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫ ৬৩৭ বার পড়া হয়েছে
ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক যশোর জেলা পরিষদ ভবন রক্ষার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। যশোর ঐতিহ্য রক্ষা সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে আজ (সোমবার) দুপুরে ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক যশোর জেলা পরিষদ ভবন রক্ষার দাবিতে জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বরাবর এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক প্রবীণ সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা রুকুনউদ্দৌলাহ, সদস্য সচিব অ্যাড. মাহমুদ হাসান বুলু, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা মাহবুবুর রহমান মজনু, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের জেলা নেতা জিল্লুর রহমান ভিটু, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, জনউদ্যোগের সদস্য সচিব কিশোর কুমার কাজল।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, যশোর জেলা পরিষদ ভবনটি যুক্ত বাংলার প্রথম জেলা যশোরের দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবন। স্থানীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য ১৯১৩ সালে এই ভবনটি নির্মিত হয়। ভবনটি এখন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মারক।
২০১৯ সালে ভবনটি একবার ভাঙ্গার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে সময় যশোরবাসীর আন্দোলনের মুখে সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু ঘাপটি মেরে থাকা একটি পক্ষ সুকৌশলে ফের ভবনটি ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা ইতিহাস-ঐতিহ্য বিরোধী সর্বনাশী সিদ্ধান্ত। জেলা পরিষদ ভবনটি সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে মূল নকশা অপরিবর্তিত রেখে সংষ্কার করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যশোরের ইতিহাস জানার সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করি। যশোরের ঐতিহ্যের ধারক স্মারকগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো আধুনিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা পরিচালনার প্রথম ভবন যশোর জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের পরিত্যক্ত ভবন। এই ভবনটি যশোরের প্রথম কালেক্টরেট ভবন। এই ভবনটির ঐতিহ্য রক্ষায় কারো কোনো উদ্যোগ নেই। সেটি আজ ধংসের দ্বারপ্রান্তে। যশোরের জেলা জজ আদালত, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ও ইতিহাস ঐত্যিহের স্মারক। এগুলোও আমরা সংরক্ষণের দাবি করি। যে জাতির ইতিহাস নেই সে জাতি নিঃস্ব। যশোর জেলাবাসী সমৃদ্ধ ইতিহাস ঐতিহ্যের অধিকারী। কিন্তু এসব ঐতিহ্যের স্মারকগুলো রক্ষার দায়িত্বে যারা তাদের অজ্ঞতা, অদূরদর্শিতা ও স্বার্থপ্রীতির কারণে একে একে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা চিন্তা করে, যশোরের ইতিহাস ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে ঐতিহাসিক এই ভবনগুলো সংস্কার করে সংরক্ষণের জোর দাবি জানানো হয়।






















