ঝিনাইদহে ত্রিপল মার্ডারে চরমপন্থীদল জড়িত কিনা সেটা তদন্ত চলছে : স্বরাষ্ট্র সচিব

- আপডেট সময় : ০১:৪১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি যশোরের কর্মশালায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন -কপোতাক্ষ
ঝিনাইদহ শৈলকুপায় ত্রিপল মার্ডারে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন চরমপন্থীদল জড়িত কিনা সেটা তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি। আজ (শনিবার) দুপুরে যশোর পিটিআই মিলনায়তনে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয়ক কর্মশালা অনিুষ্ঠিত হয়। এতে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অংশ নেন। কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। যশোর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে কর্মশালায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ও ১৬ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার, জেলা ও দায়রা জজ, সিনিয়র জুডিশিয়াল ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পাবলিক প্রসিকিউটর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ৩২০ কর্মকর্তা অংশ নেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি বলেন, ঝিনাইদহের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। যারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে অচিরেই রহস্য বের করা হবে। তিনি বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলার যে অবস্থা ছিল, সেটা অনেক উন্নতি ঘটেছে। আরও উন্নতি ঘটাতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা পুলিশের বিধ্বস্ত বাহিনী পেয়েছিলাম। তারা আস্তে আস্তে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। কোমর তুলে দাঁড়াচ্ছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মনের ভাব বুঝছি, তাদের উন্নয়ন ঘটানোর সকল উদ্যোগ নিচ্ছি। পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেট একত্রে আমরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে কাজ করছি।
দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে একটি গোষ্ঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপতথ্য ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তিলকে তাল করে একটি গোষ্ঠি কল্পনার ফানুস উড়াচ্ছে। পুরনো কোনো ঘটনার ছবি বা ভিডিও নতুন করে পোস্ট করে অস্থিতিশীল সৃষ্টি করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিতে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় উপজেলার রামচন্দ্রপুর ত্রিবেণি সেচখাল এলাকায় তিনজনকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত মো. হানিফ (৫০) হরিনাকুন্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের রাহাজ উদ্দিনের ছেলে ও অপরজন হানিফের শ্যালক লিটন হোসেন (৩৫) উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। হানিফ দীর্ঘদিন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (লাল পতাকা) সক্রিয় নেতা ছিলেন বলে জানা গেছে। বাকি একজনের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে হত্যার বিষয়ে চরমপন্থী সংগঠন জাসদ গণবাহিনীর নেতা কালু দায় স্বীকার করে গণমাধ্যমকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠিয়েছেন।