ঢাকা ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শ্রদ্ধা ভালোবাসায় কমরেড জাকির হোসেন হবিকে চির বিদায় যশোরে গ্রাম আদালতে ১১ মাসে দেড় হাজার মামলা নিষ্পত্তি, ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা অর্থদন্ড আদায় যবিপ্রবিতে সংঘর্ষের পর অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ব্যতিক্রমী খাদ্যপণ্যের প্রদর্শনী দেখে উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করলেন ডিসি আদালতের রায়ের পর ইব্রাহিমের মুক্তি পেতে সময় লাগলো ৮ বছর! সাইপ্রাসের স্বপ্ন নিয়ে ঘর ছেড়ে যশোরের জাফর এখন ইউক্রেনের রণাঙ্গনে! যশোরে সংবর্ধিত হলেন ব্লাইন্ড টি-২০ দল যবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, প্রক্টরসহ আহত ৫ যশোরে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ও শেখ হাসিনার নাম ফলক ভাংচুর যশোরের আলোচিত টিএসআই রফিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

স্ত্রী হত্যায় পুলিশ স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

খুলনা অফিস
  • আপডেট সময় : ০৩:১৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে

খুলনায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল লিটন কুমার দেবনাথকে (কনস্টেবল নং ৫৯৬) মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ (বুধবার) বিকালে আসামী লিটনের উপস্থিতে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. কেরামত আলী এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য খাগড়াছড়ি জেলার রামপুর পৌরসভার বাসিন্দা। তার বাবার নাম অভিলাশ দেবনাথ।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলফাজ হোসেন শেখ জানান, প্রথমে প্রেমের প্রস্তাব ও পরে প্রত্যাখ্যাত হয়ে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আসামী লিটন কুমার দেবনাথ কৌশলে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চিড়িংগা কোচপাড়ার সামসুল আলমের মেয়ে আরজু আক্তারকে বিয়ে করে। দুইজনের বাবা ও ভিন্ন ধর্মের হওয়ায় প্রথমে বিয়ে বা সর্ম্পক স্থাপনে আরজু রাজি ছিলেন না। একপর্যায়ে লিটন ধর্মান্তরিত হয়ে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি বিয়ে করেন। একই বছর লিটন বদলি হয়ে স্ত্রী নিয়ে খুলনার রূপসায় চলে আসেন। সেখানে পুটিমারীতে তারা ভাড়া বাসায় থাকতেন। কিন্তু তাদের দাম্পত্য কলহে বাড়িওয়ালারা ক্ষুব্ধ ছিলেন। এজন্য তারা একাধিকবার বাসা বদল করেন। এরমধ্যে তাদের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। ২০২০ সালে এই দ্বন্দ্বের জেরে ২৭ ফেব্রুয়ারি লিটন আরজুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে শরীরে লোহার পাত বেঁধে আঠারবেকী নদীতে ফেলে দেয়।

এরপর লিটন অপপ্রচার করে তার স্ত্রী ছেলে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। ২ মার্চ রূপসার শিয়ালি পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে অজ্ঞাতনামা হিসেবে ঐ মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক মো. ফিরোজ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পুলিশের তদন্তে আরজুর পরিচয় ও হত্যাকারী শনাক্ত হলে লিটন দেবনাথ গ্রেপ্তার হন।

তিনি আরো জানান, ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা পিবিআইয়ের তৎকালীন ওসি লুৎফর রহমান আরজুর স্বামী লিটন কুমারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। আদালত বিভিন্ন কার্যদিবসের সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে রায় প্রদান করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

স্ত্রী হত্যায় পুলিশ স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় : ০৩:১৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

খুলনায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল লিটন কুমার দেবনাথকে (কনস্টেবল নং ৫৯৬) মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ (বুধবার) বিকালে আসামী লিটনের উপস্থিতে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. কেরামত আলী এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য খাগড়াছড়ি জেলার রামপুর পৌরসভার বাসিন্দা। তার বাবার নাম অভিলাশ দেবনাথ।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলফাজ হোসেন শেখ জানান, প্রথমে প্রেমের প্রস্তাব ও পরে প্রত্যাখ্যাত হয়ে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আসামী লিটন কুমার দেবনাথ কৌশলে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চিড়িংগা কোচপাড়ার সামসুল আলমের মেয়ে আরজু আক্তারকে বিয়ে করে। দুইজনের বাবা ও ভিন্ন ধর্মের হওয়ায় প্রথমে বিয়ে বা সর্ম্পক স্থাপনে আরজু রাজি ছিলেন না। একপর্যায়ে লিটন ধর্মান্তরিত হয়ে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি বিয়ে করেন। একই বছর লিটন বদলি হয়ে স্ত্রী নিয়ে খুলনার রূপসায় চলে আসেন। সেখানে পুটিমারীতে তারা ভাড়া বাসায় থাকতেন। কিন্তু তাদের দাম্পত্য কলহে বাড়িওয়ালারা ক্ষুব্ধ ছিলেন। এজন্য তারা একাধিকবার বাসা বদল করেন। এরমধ্যে তাদের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। ২০২০ সালে এই দ্বন্দ্বের জেরে ২৭ ফেব্রুয়ারি লিটন আরজুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে শরীরে লোহার পাত বেঁধে আঠারবেকী নদীতে ফেলে দেয়।

এরপর লিটন অপপ্রচার করে তার স্ত্রী ছেলে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। ২ মার্চ রূপসার শিয়ালি পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে অজ্ঞাতনামা হিসেবে ঐ মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক মো. ফিরোজ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পুলিশের তদন্তে আরজুর পরিচয় ও হত্যাকারী শনাক্ত হলে লিটন দেবনাথ গ্রেপ্তার হন।

তিনি আরো জানান, ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা পিবিআইয়ের তৎকালীন ওসি লুৎফর রহমান আরজুর স্বামী লিটন কুমারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। আদালত বিভিন্ন কার্যদিবসের সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে রায় প্রদান করেন।