যশোরে ‘দেশী খেজুর গাছের জাত উন্নয়ন গবেষণা ক্ষেত্র’ দখলের অভিযোগ

- আপডেট সময় : ০৩:১৭:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
দেশের একমাত্র ‘দেশী খেজুর গাছের জাত উন্নয়ন গবেষণা ক্ষেত্র’ দখল করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার নাগরঘোপ গ্রামে জেলা প্রশাসনের দেয়া জমিতে খেজুর গাছের চারা লাগিয়ে গবেষণা করছিলেন সৈয়দ নকীব মাহমুদ ফুয়াদ নামে এক গবেষক। বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে ঐ ক্ষেতের কিছু গাছ মরে গিয়েছিল। বাকি গাছগুলো বেঁচে ছিল। কিন্তু সুবল অধিকারী নামের একব্যক্তি জমিটি তার বলে দাবি করে দখল করে নিয়েছেন। তিনি তার লোকজন নিয়ে বেশকিছু জীবিত এবং মৃত গাছ কেটে ফেলেছেন।
সূত্র জানায়, সৈয়দ নকীব মাহমুদ ফুয়াদ দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর দেশি খেজুর গাছ নিয়ে গবেষণা করছেন। বিষয়টি জানার পর যশোর জেলা প্রশাসন ২০২১ সালের ২১ মার্চ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় এখানে খেজুর বাগান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর জন্য ৭ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয় জেলা প্রশাসন থেকে। ঐ জমিতে প্রায় ১২০টি দেশি জাতের খেজুরগাছের চারা লাগানো হয়। যশোরের তৎকালীন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা গাছের চারা লাগিয়ে উদ্বোধন করেন। মাত্র কয়েক বছরে চারাগুলো লকলকিয়ে বড় হচ্ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে ভবদহ অঞ্চলের টানা জলাবদ্ধতার কারণে বেশকিছু গাছ মারা যায়। আর চলতি সপ্তাহে উপজেলার নাগরঘোপ গ্রামের সুবল অধিকারী ঐ বাগানের গেটের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে খেজুর গাছের চারাগুলো কেটে ফেলে জমি নিজের বলে দাবি করছেন।
সুবল অধিকারীর দাবি, ঐ জমি তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া। পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৭৯ সালে তাদের তিন শরিকের ৮২ শতক জমি অধিগ্রহণ করে কাজ করছিল। সেখানে তিন শতকের উপর একটি ইটের ঘর নির্মাণ করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। ১৯৯২ সালে ভূমি রেকর্ডের সময় তিন শতক জমি সরকারের অনুকূলে রেকর্ড হয়। বাকি জমি তাদের। এরমধ্যে ২৭ শতক জমি তার নিজের নামে। তাই তিনি জমি দখল করেছেন।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না বলেন, শুনেছি ঐ খেজুর বাগানের চারাগাছগুলো নষ্ট করে একব্যক্তি নিজের জমি দাবি করে দখল করে নিয়েছেন। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। রিপোর্ট পাবার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।