ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শ্রদ্ধা ভালোবাসায় কমরেড জাকির হোসেন হবিকে চির বিদায় যশোরে গ্রাম আদালতে ১১ মাসে দেড় হাজার মামলা নিষ্পত্তি, ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা অর্থদন্ড আদায় যবিপ্রবিতে সংঘর্ষের পর অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ব্যতিক্রমী খাদ্যপণ্যের প্রদর্শনী দেখে উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করলেন ডিসি আদালতের রায়ের পর ইব্রাহিমের মুক্তি পেতে সময় লাগলো ৮ বছর! সাইপ্রাসের স্বপ্ন নিয়ে ঘর ছেড়ে যশোরের জাফর এখন ইউক্রেনের রণাঙ্গনে! যশোরে সংবর্ধিত হলেন ব্লাইন্ড টি-২০ দল যবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, প্রক্টরসহ আহত ৫ যশোরে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ও শেখ হাসিনার নাম ফলক ভাংচুর যশোরের আলোচিত টিএসআই রফিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

মোট মামলা ২৩৮, নিষ্পত্তি ৯২

খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় মানব পাচার মামলায় ৫টিতে মাত্র ৯ আসামির সাজা!

প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ ৫০ বার পড়া হয়েছে

২০২৪ সালে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় মানব পাচারের ২৩৮টি মামলা হয়েছে। এই নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৮১১টি মানব পাচার মামলা চলমান রয়েছে। আর এবছর মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ৯২টি, যার ৫টি মামলায় ৯ জন আসামির সাজা হয়েছে। মানব পাচার পরিস্থিতির মামলার শম্বুক গতির এমন চিত্র উঠে এসেছে আজ (রোববার) যশোরে ‘মানব পাচারের শিকার ব্যক্তির সুরক্ষা ও সহায়তায় বাংলাদেশ জাতীয় রেফারেল ব্যবস্থার কাঠামো’ শীর্ষক খুলনা বিভাগীয় কর্মশালায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আয়োজনে যশোর জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় রেফারেল কাঠামো বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী বলেন, মানব পাচারের শিকার ১০টি জেলার মানুষই আছে। কিন্তু একবছরে প্রতিটি জেলায় পাচারকারীর সাজা নিশ্চিত করা যায়নি। আর মামলা ৮১১টি থাকলেও এর বেশি মানুষ মামলা করেননি সামাজিক সমস্যাসহ নানা কারণে।

কর্মশালায় ৪৯ বিজিবির অ্যাডজুট্যান্ট সোহেল আল মুজাহিদ জানান, নভেম্বর থেকে জানুয়ারির এ পর্যন্ত তিন মাসে ভারতে যাওয়ার সময় ৪৪ জনকে এবং আসার সময় ৪৩ জনকে আটক করে ২৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সময় ৮২ জনকে প্রত্যার্পন করা হয়।

কর্মশালায় খুলনা বিভাগের কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব মু. জসীম উদ্দীন খানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই আলম চৌধুরী, রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, রূপান্তর খুলনার নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ, প্রেসক্লাব সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এতে খুলনা বিভাগের জেলা প্রশাসকবৃন্দ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মোট মামলা ২৩৮, নিষ্পত্তি ৯২

খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় মানব পাচার মামলায় ৫টিতে মাত্র ৯ আসামির সাজা!

আপডেট সময় : ০৩:৩৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

২০২৪ সালে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় মানব পাচারের ২৩৮টি মামলা হয়েছে। এই নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৮১১টি মানব পাচার মামলা চলমান রয়েছে। আর এবছর মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ৯২টি, যার ৫টি মামলায় ৯ জন আসামির সাজা হয়েছে। মানব পাচার পরিস্থিতির মামলার শম্বুক গতির এমন চিত্র উঠে এসেছে আজ (রোববার) যশোরে ‘মানব পাচারের শিকার ব্যক্তির সুরক্ষা ও সহায়তায় বাংলাদেশ জাতীয় রেফারেল ব্যবস্থার কাঠামো’ শীর্ষক খুলনা বিভাগীয় কর্মশালায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আয়োজনে যশোর জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় রেফারেল কাঠামো বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী বলেন, মানব পাচারের শিকার ১০টি জেলার মানুষই আছে। কিন্তু একবছরে প্রতিটি জেলায় পাচারকারীর সাজা নিশ্চিত করা যায়নি। আর মামলা ৮১১টি থাকলেও এর বেশি মানুষ মামলা করেননি সামাজিক সমস্যাসহ নানা কারণে।

কর্মশালায় ৪৯ বিজিবির অ্যাডজুট্যান্ট সোহেল আল মুজাহিদ জানান, নভেম্বর থেকে জানুয়ারির এ পর্যন্ত তিন মাসে ভারতে যাওয়ার সময় ৪৪ জনকে এবং আসার সময় ৪৩ জনকে আটক করে ২৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সময় ৮২ জনকে প্রত্যার্পন করা হয়।

কর্মশালায় খুলনা বিভাগের কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব মু. জসীম উদ্দীন খানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই আলম চৌধুরী, রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, রূপান্তর খুলনার নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ, প্রেসক্লাব সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এতে খুলনা বিভাগের জেলা প্রশাসকবৃন্দ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।