ঢাকা ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক ক্লিন এনার্জি দিবস উপলক্ষে যশোরে মানববন্ধন

প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:২০:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ ৪১ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ক্লিন এনার্জি দিবস উপলক্ষে যশোরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত -কপোতাক্ষ

আন্তর্জাতিক ক্লিন এনার্জি দিবস উপলক্ষে সচেতন নাগরিক কমিটি যশোরের উদ্যোগে আজ (রোববার) প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক শাহীন ইকবালের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক সদস্য অংশ নেন।

এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেও বাংলাদেশ এখনও আমদানিনির্ভর জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর অতি নির্ভরশীল। বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়লেও, জ্বালানি মিশ্রণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ মাত্র ৪.৬৫ শতাংশ। সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা প্রণীত হওয়ায় নীতি পরিকল্পনা প্রণয়নে অসঙ্গতি ও অস্পষ্টতা এবং বিভিন্ন অংশীজনের মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। সরকারের পরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির পরিবর্তে জীবাশ্ম জ্বালানিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি ক্রয় এবং পরিবেশ-বিষয়ক আইন ও বিধিবিধান পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ খাত সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালী গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধির জন্য দেশজ সম্পদ ও প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা ব্যবহার না করে আমদানিনির্ভর ব্যয়বহুল কয়লা ও এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় জ্বালানি খাতে সুশাসন নিশ্চিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির পরিমাণ বৃদ্ধি করে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন, জবাবদিহি নিশ্চিতে তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা প্রদানসহ ১২ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আন্তর্জাতিক ক্লিন এনার্জি দিবস উপলক্ষে যশোরে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৪:২০:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

আন্তর্জাতিক ক্লিন এনার্জি দিবস উপলক্ষে সচেতন নাগরিক কমিটি যশোরের উদ্যোগে আজ (রোববার) প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক শাহীন ইকবালের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক সদস্য অংশ নেন।

এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেও বাংলাদেশ এখনও আমদানিনির্ভর জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর অতি নির্ভরশীল। বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়লেও, জ্বালানি মিশ্রণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ মাত্র ৪.৬৫ শতাংশ। সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা প্রণীত হওয়ায় নীতি পরিকল্পনা প্রণয়নে অসঙ্গতি ও অস্পষ্টতা এবং বিভিন্ন অংশীজনের মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। সরকারের পরিকল্পনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির পরিবর্তে জীবাশ্ম জ্বালানিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি ক্রয় এবং পরিবেশ-বিষয়ক আইন ও বিধিবিধান পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ খাত সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালী গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধির জন্য দেশজ সম্পদ ও প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা ব্যবহার না করে আমদানিনির্ভর ব্যয়বহুল কয়লা ও এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় জ্বালানি খাতে সুশাসন নিশ্চিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির পরিমাণ বৃদ্ধি করে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন, জবাবদিহি নিশ্চিতে তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা প্রদানসহ ১২ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।