যশোর বোর্ডে পুনঃনিরীক্ষণে ৯৩ জনের ফলাফল পরিবর্তন
প্রতিবেদক :
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণে ৯৩ জনের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। ফেল থেকে বিভিন্ন গ্রেডে পাশ করেছে ২৭ জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৯ জন। শুক্রবার দুপুরে এইচএসসি পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ।
করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২২ সালে নভেম্বরে। প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষার্থীদের তিনটি বিষয়ে অনুষ্ঠিত ঐ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি। সেই প্রকাশিত ফলাফলে আপত্তি ও প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় ২৮ হাজার ৪০৪ জন শিক্ষার্থী উত্তরপত্র নতুন করে মূল্যায়নের জন্য আবেদন করে। এতে ৯৩ জনের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ২৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৯ জন। এ গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ জন। এ মাইনাস থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। বি গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন। বাকিদের পরিবর্তন হয়েছে বিভিন্ন গ্রেড।
এদিকে, পাবলিক পরীক্ষার মধ্যে এবারই বেশি প্রকাশিত ফলাফলের উপর আপত্তি জানিয়ে পুনঃনিরীক্ষণে আবেদন হয়েছে। অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ঠরা বলছে, পুনঃনিরীক্ষণে ফলাফল যশোর বোর্ডে অধিকহারে পরিবর্তন হওয়াতেই এই আবেদন বেশি পড়ছে। এছাড়া বিভিন্ন গ্রেড থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা জিপিএ-৫ পাওয়ায় পরীক্ষকদের দক্ষতা আর দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এসব শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা। তারা বলছেন, পূর্বে যারা পরীক্ষক ছিল তারা কীভাবে এ উত্তরপত্রগুলো মূল্যায়ন করেছেন।
তবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ বলেন, পরীক্ষার উত্তরপত্রে নম্বর যোগফল গণনার কারণে পুনঃনিরীক্ষার রেজাল্টে পরিবর্তন আসে। ২৮ হাজার ৪০৪ জন পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র নতুন করে পরীক্ষক নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হয়। এতে ৯৩ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। অভিজ্ঞ পরীক্ষক দিয়ে খাতা পুনঃনিরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে কিছু খাতায় অনিচ্ছাকৃত বা গণনার কারণে ভুল হয়। নিয়ম অনুয়ায়ী যে প্রাপ্য ফলাফল সেটাই দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯৫। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৭০৩ জন শিক্ষার্থী। গতবার এ বোর্ডের পাসের হার ছিল ৯৮ দশমিক ১১। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২০ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার কমেছে ১৪ দশমিক ১৬ এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তি কমেছে ২ হাজার ১৭৫।