ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে অভয়নগরে কচুরিপানা অপসারণ কর্মসূচি
অভয়নগর প্রতিনিধি :
ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে যশোরের অভয়নগরে আমডাঙ্গা খালের কচুরিপানা অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। জনস্বার্থে বিশেষ বরাদ্দের আওতায় ভবদহ অঞ্চলের ৮৭ জন এ অপসারণ কাজে অংশগ্রহণ করছেন। তিন দলে বিভক্ত হয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কচুরিপানা অপসারণ কাজ শুরু করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের তদারকিতে প্রায় ১৮ কিলোমিটার জমে থাকা কচুরিপানার পাঁচ কিলোমিটার অপসারণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
আজ শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আমডাঙ্গা খাল ৬ ভেন্ট রেগুলেটর এলাকায় চলমান কচুরিপানা অপসারণের কাজ পরিদর্শন করেন অভয়নগর উপজেলা চেয়ারম্য শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর। এসময় উপস্থিত ছিলেন সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম মল্লিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস জেড মাসুদ তাজ, সুন্দলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সমীরণ সরকার, প্রেসক্লাবের সদস্য রকিবুল ইসলাম রুবেল প্রমুখ।
কচুরিপানা অপসারণের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল জানান, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে অপসারণকারীদের জনপ্রতি প্রতিদিন ১০ কেজি পরিমান চাল দেওয়া হচ্ছে। খালের গুরুত্বপূর্ণস্থান বিবেচনা করে ৮৭ জনকে তিনটি দলে ভাগ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে। তবে ভৈরব নদের সঙ্গে খালের সংযোগস্থলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পড়ে থাকা কয়েকটি ব্লক পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে। ওই ব্লকগুলো সরাতে পারলে পানিপ্রবাহের গতি কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর জানান, ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে আমডাঙ্গা খালের কচুরিপানা অপসারণ কাজ দ্রæতগতিতে চলছে। জলাবদ্ধ এলাকা থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। আমডাঙ্গা খালে পানিপ্রবাহের গতি বৃদ্ধি হলে অভয়নগরের সুন্দলী, চলিশিয়া ও প্রেমবাগ ইউনিয়নসহ মণিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া ও হরিদাসকাটি ইউনিয়নের জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে যাবে। ফলে ঐসব এলাকার বিলগুলোতে চাষাবাদ করা সম্ভব হবে।