স্মাক্ষর জালিয়াতি করে সভাপতি নির্বাচন : তদন্ত কমিটি
চৌগাছা কমলাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
প্রতিবেদক :
যশোর শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা ও অনিয়ম করে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে স্মাক্ষর জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে। তদন্ত কমিটির তদন্তে সভাপতি নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম উঠে আসে। উপজেলার কমলাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম আলিম রেজাসহ একটি প্রভাবশালী মহল গঠনতন্ত্র উপেক্ষা এবং আইন লংঘন করে পছন্দের লোকজন দিয়ে পকেট কমিটি গঠন করেছেন বলে লিখিত অভিযোগ করেন একাধিক অভিভাবক সদস্য।
লিখিত অভিযোগের সূত্রে গত মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে তদন্তে আসেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম রফিকুজ্জামান। বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী মাইকিং না করা, সদস্যদের না জানিয়ে অভিভাবক সদস্য নির্বাচন ও রেজুলেশনে স্মাক্ষর জালিয়াতির সত্যতা পায় তদন্ত কমিটি। এ নিয়ে এলাকাবাসী শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে পকেট কমিটি গঠনের পর থেকে বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা তা অবিলম্বে বাতিল করে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার কমলাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি না থাকায় যশোর শিক্ষাবোর্ড থেকে কমিটি গঠনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনের নির্দেশনা থাকলেও বোর্ডেও নির্দেশনা গোপন রেখে, নির্বাচনের বিধান ভঙ্গ করে, তফসিল, মনোনয়ন এবং নির্বাচনের সার্বিক বিধান অমান্য করে প্রধান শিক্ষকের এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলকে নিয়ে গোপনে একটি পকেট কমিটি গঠন করে বোর্ডে জমা দেন। কমিটি গঠনের পর থেকে দীর্ঘদিন বিষয়টি গোপন রাখা হয়। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ে চারটি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার চেষ্টা করলে সভাপতি নির্বাচনের বিষয়টি সাধারণ অভিভাবক সদস্যদের নজরে আসে।
স্থানীয়রা বলেন, প্রধান শিক্ষক অনেকদিন যাবৎ দুর্নীতিগ্রস্থ। প্রতিদিন তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন না। তিনি স্মাক্ষর জালিয়াতি করে সভাপতি নির্বাচিত করে বিদ্যালয়ে চারটি পদে নিয়োগ দিতে চেয়েছিলেন। আমরা বিষয়টি বুঝতে পেরে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিই। তিনিও তদন্তে এসে দুর্নীতির সত্যতা পেয়েছেন। বিগত দিনেও বিদ্যালয়ে উন্নয়নের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
এবিষয়ে কমলাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম আলিম রেজা বলেন, এবিষয়ে আমি বেশি কিছু বলতে চাই না। তদন্ত হয়েছে, তদন্তে সত্যটাই প্রকাশ পাবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম রফিকুজ্জামান বলেন, তদন্তে এসে উপস্থিত সকলের কাছে সর্বোচ্চ জানার চেষ্টা করেছি। একাধিক অভিভাবক সদস্যের স্মাক্ষরের অমিল পেয়েছি। স্মাক্ষর জালিয়াতির বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।