নির্বাচনকে বাঁধাগ্রস্ত করতে ব্যবসায়ী নেতা মিজানকে আটকের অভিযোগ
যশোর চেম্বার অব কমার্সের ভোট ৭ জানুয়ারি
প্রতিবেদক :
যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খানকে আটক করে নাশকতা মামলায় আদালতে চালান দিয়েছে পুলিশ। আদালত তাকে জেলে প্রেরণ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে শহরতলীর উপশহরের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে।
আগামী ৭ জানুয়ারি যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সম্মিলিত ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্যানেল লিডার মিজানুর রহমান খান। তার প্যানেলের সদস্যরা বলছেন, নির্বাচনকে বাঁধাগ্রস্ত করতে তাকে মিথ্যা মামলায় আটক করা হয়েছে। তবে পুলিশ মামলায় বলছে, আটক মিজান জেলা বিএনপির নেতা। তার বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা রয়েছে।
মামলায় পুলিশ উল্লেখ করেছে, গত ৩ ডিসেম্বর সদরের রামনগর নামেজ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে দুর্বৃত্তরা নাশকতামূলক কর্মকান্ড করার জন্য বোমা নিয়ে জড়ো হয়। সেখানে পুলিশ পৌঁছালে সবাই পালিয়ে যায়। এর মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন মিজানুর রহমান খান। এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়। সেকারণে তাকে ওই মামলায় আটক করা হয়েছে।
তবে যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী সম্মিলিত ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সদস্য আতিকুল ইসলাম বাবু অভিযোগ করে বলেন, গত ৮ বছর ধরে যশোর চেম্বারে ভোট হয়নি। প্রশাসক দিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। কারা এতদিন নির্বাচন করতে দেয়নি, তা ব্যবসায়ীরা ভালো করে জানেন। আগামী ৭ জানুয়ারি ব্যবসায়ীদের প্রাণের সংগঠন চেম্বার অব কমার্সের ভোট। এই ভোটে আমাদের প্যানেল লিডার হলেন মিজানুর রহমান খান। তিনি যেন ভোটে নেতৃত্ব দিতে না পারেন সেজন্য তাকে পরিকল্পিতভাবে পুলিশ দিয়ে আটক করা হয়েছে। এটা সুষ্ঠু ভোটের জন্য চরম বাঁধা। এই আচরণে ব্যবসায়ী সমাজ ক্ষুব্ধ। ব্যবসায়ীরা চায় যশোর চেম্বার অব কমার্সের অবাধ সুষ্ঠুও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। যেখানে ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিনিধি ঠিক করবেন। এভাবে পুলিশি বাঁধা কারও কাম্য নয়।
চেম্বারের নির্বাচনের পূর্বে মিজানুর রহমান খানকে আটকের ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) বেলাল হোসাইন, পুলিশের মুখপাত্র ডিবি ওসি রূপন কুমার সরকার ও কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলামকে ফোন দেয়া হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
যশোর চেম্বারের নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২১টি পদের বিপরীতে দুটি প্যানেলে মোট ৫৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে সাধারণে ৩৬ জন, সহযোগিতে ১৫ ও গ্রুপ সদস্য পদে জমা দিয়েছেন ২ জন।
নির্বাচনে সম্মিলিত ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান ও যশোর ব্যবসায়ী ফোরামের নেতৃত্বে রয়েছেন সংস্থার সাবেক নির্বাহী সদস্য হুমায়ন কবীর কবু।