
বেনাপোলে বিজিবির বিরুদ্ধে দিনমজুরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ
প্রতিবেদক :
বেনাপোলে বিজিবির বিরুদ্ধে সোহাগ মিয়া (৩৫) নামে এক দিনমজুরকে মাদকের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। ঐ দিনমজুরের স্ত্রী রিমা বেগম আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। একইসাথে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার ও তার মুক্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রিমা বেগম বলেন, তার স্বামী সোহাগ মিয়া ওরফে বড় বাবু শার্শা উপজেলার সাতমাইল (বাগআঁচড়া) এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয় গরুর হাটে দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর গভীররাত থেকে পরদিন সকাল ১১টা পর্যন্ত বিজিবি সদস্যরা তাদের বাড়িতে স্বর্ণের বার উদ্ধারের নামে অভিযান চালায়। সেসময় তারা বাড়িতে কোনোকিছু না পেলেও সোহাগকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বিজিবি সোহাগকে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ আটক দেখিয়ে মামলা করে। এমনকি ঐ মামলায় সোহাগের ছোটভাই মিলনসহ মোট ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে রিমা বেগম তার স্বামীর মুক্তি ও মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
বাগআচড়ার সোনার সবচেয়ে বড় চোরাকারবারীর সহযোগী এই সোহাগ মিয়া। এর পুরো পরিবারই সোনা চোরাচালানের সাথে জড়িত। দিনমজুর হলে এরা ৩৫ লাখ টাকার গাড়িতে চড়ে কী করে?
- লে. কর্ণেল সাহেদ মো. মিনহাজ সিদ্দিকী, কমান্ডিং অফিসার, ৪৯ বিজিবি
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর বেনাপোল বিওপি (বিজিবি) ৪৯/ডি কোম্পানির জেসিও-৮০৭৮ সুবেদার মো. আহসান উল্লাহ বাদী হয়ে বেনাপোল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮.২০ মিনিটের দিকে বেনাপোল থেকে যশোরের দিকে যাওয়া একটি প্রাইভেটকার তল্লাশিকালে সেখানে থাকা চারজন দৌড়ে পালানোর সময় সোহাগ হোসেন ওরফে বড় বাবুকে আটক করা হয়। এরপর গাড়িতে থাকা ১০০ বোতল ফেনসিডিল, ইয়াবা সদৃশ গোলাপি ট্যাবলেট ৪ হাজার ৯৬৫ পিস, চার কেজি গাঁজা, কাঁটাতার কাটার কাইচি, সোনা প্যাকিং করার ম্যাটেরিয়াল ও প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, আমরা আসামিকে কোর্টে প্রেরণ করি। বিজ্ঞ আদালত আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে ৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল সাহেদ মো. মিনহাজ সিদ্দিকী বলেন, বাগআচড়ার সোনার সবচেয়ে বড় চোরাকারবারীর সহযোগী এই সোহাগ মিয়া। এর পুরো পরিবারই সোনা চোরাচালানের সাথে জড়িত। দিনমজুর হলে এরা ৩৫ লাখ টাকার গাড়িতে চড়ে কী করে?