প্রতিবেদক :
আজ শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে যশোর কালেক্টরেট স্কুল মিলনায়তনে যশোর আঞ্চলিক উদ্যোক্তা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বক্তারা বলেন, একেকজন উদ্যোক্তাই এক টুকরো বাংলাদেশ। পরিশ্রম, সততা ও আদর্শ নিয়ে ব্যবসা করলে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সাফল্য আসবেই। উদ্যোক্তা হতে হলে ঝুঁকি নিতে হয়। ব্যবসা বুঝতে হয়। এতে লাভের পাশাপাশি বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তির কর্মসংস্থান হবে। তারা বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক ধরনের পণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়। এর মূলেই রয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা (এসএমই)। বিদেশে আরও যেসব পণ্যের চাহিদা রয়েছে সেসব পণ্য রপ্তানির জন্যে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে।
আইডিএলসি-প্রথম আলোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর যশোর প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে চারজন তরুণ উদ্যোক্তা বক্তব্য রাখেন। তারা হলেন শিশুদের বিশেষ ধরনের বিদ্যাপীঠ মৌমাছি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মাসুম বিল্লাহ, মশার কয়েলের কাঁচামাল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আনাজ এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী খাদিজা ইসলাম, শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের আইটি উদ্যোক্তা জহির ইকবাল ও নারী উদ্যোক্তা মুসলিমা খাতুন। তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প শোনান। সেই পথ মৃসন ছিল না। তাদের পুঁজি ছিল না। ছিল না অভিজ্ঞতা কিংবা প্রশিক্ষণ। তাদের বক্তব্যে সেই কথা উঠে আসে। অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যদিয়ে তাদের এই পর্যায়ে আসতে হয়েছে বলে তারা জানান।
বৈঠকে বক্তব্য রাখেন আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের যশোর শাখার ব্যবস্থাপক শেখ সাঈদ আহমদ। নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানানোর জন্যে ‘হাউ টু রেজিস্ট্রেশন’ ভিডিও চিত্র দেখানো হয়। গতবারের আয়োজনের জার্নি শিরোনামে ভিডিও-ও দেখানো হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সুধিজন পর্বে চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান, যশোর নারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি তনুজা রহমান ও যশোর বিসিক শিল্পনগরীর রেসকো ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন বন্ধুসভার সভাপতি লাকি রানী কাপুড়িয়া। সঞ্চালনা করেন বন্ধুসভার সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমেন্দ্র গোস্বামী।
চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো এ পুরস্কার দেওয়া হবে। আগ্রহী ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এ পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারবেন।