প্রতিবেদক :
কেশবপুরের গৃহবধূ মুসলিমাকে হত্যা অভিযোগে তিন সৎ ছেলেসহ চার জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে একটি মামলা হয়েছে। আজ বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নিহত মুসলিমার বোন শ্রীরামপুর গ্রামের বাদশার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরমান হোসেন অভিযোগের ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা তা জানিয়ে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন কেশবপুর থানার ওসিকে। আসামিরা নিহত মুসলিমার সৎ ছেলে রবিউল ইসলাম, জিএম হুমায়ুন কবির, মাসুদ ও হায়ার আলীর স্ত্রী ফাতেমা খাতুন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, কন্দপপুর গ্রামের মৃত মশিয়ার রহমান গাজী দ্বিতীয় বিয়ে করেন মুসলিমাকে। মশিয়ারের দ্বিতীয়পক্ষে দুটি ছেলে আছে। মশিয়ার রহমান গাজীর মৃত্যুর পর মুসলিমা তার দুই ছেলে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করতেন। এরমধ্যে মশিয়ার রহমানের প্রথমপক্ষের তিন ছেলে সম্পত্তি নিজেদের নামে লিখে নেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করে। মুসলিমাকে তার নাবালক দুই ছেলে জমি লিখে দেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল। গত ৮ আগস্ট সকালে আসামিরা জমি লিখে দিতে বলে। আসামিদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মারপিট করে জখমের পর গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।