Take a fresh look at your lifestyle.

যশোরে মাদক ছেড়ে সুস্থ জীবনে হাজারও যুবক

0

প্রতিবেদক :
নাঈম হোসেনের বয়স তখন মাত্র ১২ বছর। বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে এ বয়সেই ধুমপান শুরু করেছিল। এরপর জড়িয়ে পড়ে মাদক সেবনে। মদ, গাঁজায় আসক্ত হয়ে এই তরুণ আর মাধ্যমিকের গন্ডি পার হতে পারেনি। পরবর্তীতে তার পরিবার চিকিৎসা করিয়ে অনেক চেষ্টার পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনেছে। কিন্তু তার আগেই কিশোর বয়সেই থেমে যায় তার বড় হওয়ার স্বপ্ন।

মাদকের ছোবলে তছনছ হয়ে গিয়েছিল যশোরের রাজুর সংসার। প্রায় ২৫ বছর ধরে নেশায় আসক্ত হয়ে পরিবার-সমাজ থেকে দূরে ছিলেন। স্ত্রী ও সন্তানদের কাছ থেকে শুধু দূরেই ছিলেন না; ঈদ আনন্দও উপভোগ করতে পারেননি। এখন তিনি সুস্থ জীবনে। মাদককে নিজেই না বলেন। নাঈম, রাজুর মতো যশোরের খায়রুল, রুবেলসহ অনেকে তাদের স্বপ্নের পৃথিবী সাজিয়েছেন নতুন করে।

শুধু তারাই নন; গত এক যুগে সহস্রাধিক মাদকসেবীকে চিকিৎসা করিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিয়েছেন যশোরস্থ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (আমিক)। পরিবারের সহায়তায় রিকভারি করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেন কেন্দ্রের ম্যানেজার আমিরুজ্জামান।

শনিবার (২০ আগস্ট) যশোরে চিকিৎসারত মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এক পারিবারিক সভায় তিনি বলেন, ছয় মাস চিকিৎসা শেষে মাদকমুক্ত জীবনযাত্রায় পরিবারের বিশেষ ভূমিকা থাকে। চিকিৎসার পাশাপাশি পরিবারের সচেনতায় গত এক দশকে তারা এক হাজার ৭২ জনকে মাদকমুক্ত জীবনে ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন। এজন্য প্রতিমাসে তারা পারিবারিক সভার আয়োজন করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রেহেনাওয়াজ। তিনি বলেন, মাদকাসক্তি চিকিৎসায় পরিবারের ভূমিকা সব থেকে বেশি। চিকিৎসা কেন্দ্র একজন রোগী একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত থাকেন, তারপর সে তার পরিবারে ফিরে যায়। সেখানে যদি রোগী ভালো পরিবেশ ফিরে না পায় তাহলে তার রিকভারি জার্নি দীর্ঘ হয় না। তাছাড়া যারা সমাজে এখন মাদকে আসক্ত বা মানসিক সমস্যাগ্রস্ত তাদের দ্রুত চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসা জরুরি।

সভায় পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন আমিক যশোর সেন্টারের মেডিকেল অফিসার ডা. মারুফুজ্জামান মারুফ। আলোচনা করেন যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এইচআর তুহিন, কাউন্সিলর মাসুদ রানা ও প্রোগ্রামার হাফিজুর রহমান।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.