Take a fresh look at your lifestyle.

যশোরে জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপিত

একমাত্র শেখ হাসিনার হাতেই দেশ নিরাপদ : কাজী নাবিল

0

প্রতিবেদক :
যুগাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মদিন জন্মাষ্টমী উৎসব আজ শুক্রবার (১৯ আগস্ট) যশোর টাউন হল ময়দানে উদযাপিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, একমাত্র শেখ হাসিনার হাতেই দেশ নিরাপদ। তিনি যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা।

তিনি বলেন, শ্রীকৃষ্ণের মূলমন্ত্র ছিল দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করা। তার কাছ থেকে শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, ন্যায়ের পথে থাকা, সত্যের পথে থাকা, সবসময় শিষ্টের পালন করা।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সমাজে কিছু দুষ্টু লোক আছে। তারা প্রায়ই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যাতে তাদের দমন করা হয়। এমন কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

এমপি নাবিল বলেন, আমরা এমন একটা সময়ে বাস করছি, যখন সারা বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের শঙ্কা চলছে। সারাবিশ্বে উগ্র মৌলবাদ মাথাচড়া দিয়ে উঠছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব সব দেশে পড়েছে। তবে সৌভাগ্য যে এই সময়ে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের দেশ পরিচালনা করছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধর্মনিরপেক্ষতা ধারণ করে বাংলাদেশকে সত্যিকার অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। গতকালও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হিন্দু ধর্মের ভাইবোনেরা যেন কোনো সময় নিজেদের সংখ্যালঘু মনে না করে।

তিনি আরও বলেন, এই দেশ সবার। বঙ্গবন্ধুর ডাকে যখন মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, তখন বাংলার হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই সময়ের দাবিতে বাঙালি। বঙ্গবন্ধু সেটাই প্রতিষ্ঠা করে গেছেন ১৯৭২ সালে আমাদের সংবিধানের চারটি মূলনীতির মাধ্যমে। এরপর সামরিক জান্তারা এসে, জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, খালেদা জিয়ার সময় আমরা দেখেছি বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার, বাংলাদেশকে একটি নব্য পাকিস্তানে পরিণত করতে কাজ করে গিয়েছিলেন।

কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, সৌভাগ্য যে ১৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান বিদেশে থাকায়। এরপর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পরে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশে আবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার প্রতিষ্ঠা করেন শেখ হাসিনা। ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক চক্রান্তে নির্বাচনে হারিয়ে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকারের দুঃশাসনের সময় বাংলাদেশে তখন গ্রেনেড হামলা হয়েছে, সিরিজ বোমা হামলা হয়েছে, সাম্প্রদায়িক সংঘাত হয়েছে, বাংলাভাইয়ের উত্থান হয়েছে, তখন একের পর এক শ্লোগান হয়েছে ‘বাংলা হবে আফগান, আমরা সবাই তালেবান’।

যশোর টাউন হল মাঠের রওশন আলী মঞ্চে নৃত্যগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রশাসক সাইফুজ্জামান পিকুল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ।

এর আগে সংসদ সদস্য রণজিৎ রায় উৎসব উদ্বোধন করেন।

আলোচনা শেষে দেশবাসীর কল্যাণ কামনায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়। পরে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা টাউন হল মাঠ থেকে বের হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.