Take a fresh look at your lifestyle.

যশোরের বাজারে ডিম-মুরগির দামেও কারসাজি!

অভিযানের পর মুরগির দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমল

0

প্রতিবেদক :
ডিম ও মুরগির মূল্য দাম নিয়েও যশোরের বাজারে কারসাজি শুরু হয়েছে। দাম বৃদ্ধির অভিযোগ পেয়ে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই বাজারে শুরু করেছে বিশেষ তদারকিমূলক অভিযান। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) শহরের চাঁচড়া চেকপোস্ট মোড়, রেলবাজার, খালধার রোড, জেল রোড ও বড়বাজারে অভিযানে যায় অধিদপ্তর। দেখা মেলে অনিয়ম আর ক্রেতা ঠকানোর ব্যবসায়ী মহলের ধারাবাহিক কারবারের। এজন্য ৫টি প্রতিষ্ঠানকে করা হয় ৫ হাজার টাকা জরিমানা।

এত কম টাকা জরিমানা কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. ওয়ালিদ বিন হাবিব দৈনিক কপোতাক্ষকে বলেন, দোকানগুলো খুব ছোট ছোট। এজন্য কম টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে অভিযানের পরপরই মুরগির দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমে এসেছে বলে তিনি জানান।

অভিযানকালে রেলবাজারের আব্দুল মান্নান ব্রয়লার হাউজে মুরগির ক্রয় তালিকা প্রদর্শন করতে দেখা যায়নি। এজন্য দোকানটির জরিমানা ২ হাজার টাকা।

খালধার রোডের আনিস এন্টারপ্রাইজে ডিমের ক্রয় রশিদ দেখাতে পারেনি। এজন্য জরিমানা ৫শ’ টাকা।

জেল রোডের বিসমিল্লাহ ডিম হাউজ দেখাতে পারেনি ডিমের ক্রয় রশিদ। ছিল না মূল্য তালিকা প্রদর্শন। ‘বিসমিল্লাহ’ নামের এ দোকানের জরিমানা একহাজার টাকা।

ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজও একই অপরাধে দিয়েছে একহাজার টাকা জরিমানা।

বড়বাজারের সাদ্দাম ব্রয়লার হাউজ ১৬৫ টাকা দরে ব্রয়লার কিনে ২০০ টাকা দরে বিক্রি করছিল। অর্থাঞ কেজিপ্রতি লাভ করছিল ৩৫ টাকা। তাদের জরিমানার অংক ৫শ’ টাকা

অভিযানে ডিম ও মুরগির পাইকারি ও খুচরা দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়, ছবি : কপোতাক্ষ

তদারকিকালে প্রতিটি ডিম ও মুরগির পাইকারি ও খুচরা দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। বড়বাজারের মুরগি বাজারে ব্রয়লারসহ অন্যান্য মুরগির দাম যৌক্তিক লাভে বিক্রি করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

এছাড়া, চাঁচড়া চেকপোস্ট মোড়ের আফিল এগ্রো ফার্ম কর্তৃপক্ষকে যৌক্তিক লাভে বিক্রি করার নির্দেশনা দেয়া হয়। এখানে কোনো অনিয়ম মেলেনি, এমন জিজ্ঞাসার জবাবে সহকারী পরিচালক মো. ওয়ালিদ বিন হাবিব বলেন, তেমন কোনো অনিয়ম দেখা যায়নি। ১০ টাকা ৪০ পয়সা মূল্যে পাইকারি ডিম বিক্রি করা হচ্ছে। মূল্য রশিদও যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়।

অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ওয়ালিদ বিন হাবিব। কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো রবিউল ইসলাম তাকে সহযোগিতা করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.